Skip to content

হায়াতের দিন ফুরোলে বই (Hayater Din Furole)

Author: Al Rayhan Himel | ⌚Last Updated On: March 10, 2024

আরিফ আজাদের বই মানেই জনপ্রিয় বই। প্রতিবছর তার এক বা একাধিক বই প্রকাশ পায়৷ পাঠকগণে তার বই পাওয়ার জন্য দিনক্ষণ গুনতে থাকে৷ ২০২৪ সালের শুরুর দিকেই লেখকের একটি বই আসতেছে। হায়াতের দিন ফুরোলে বইটি আরিফ আজাদের ২০২৪ সালে প্রকাশিত নতুন বই। ইতিমধ্যে অনেকে বইটি প্রিঅর্ডার দিয়ে রাখতেছে। আজকে আমরা হায়াতের দিন ফুরোলে বইটি নিয়ে কিছু আলোচনা করবো।

1. হায়াতের দিন ফুরোলে

হায়াতের দিন ফুরোলে

Key Specifications

বইয়ের নাম: হায়াতের দিন ফুরোলে
ক্যাটাগরি: ইসলামি বই: আত্ম-উন্নয়ন
লেখক: আরিফ আজাদ
প্রকাশক: সত্যায়ন প্রকাশন
ভাষা: বাংলা
সংস্করণ: ১ম প্রকাশ, ২০২৪

বইটির সূচিপত্র

দুঃখ-প্লাবন দিনে
সুতরাং, কোথায় যাচ্ছ?
হয়তো-বা তার মন ভালো নেই
জীবনের পাচঁ সুতো
আমি তোমাদের বন্ধু নই
সত্যের সাথে সংসার
ঘটনার ঘনঘটায় জীবনের রূপ
হায়াতের দিন ফুরোলে
হৃদয়ে রোগ
তাহাদের আয়নাতে আমাদের মুখ
চাঁদের জীবন
বিত্তের ব্যবচ্ছেদ
যে স্বপ্ন জীবনের চেয়ে বড়
বাড়তি দুটো সিজদা
শুভাকাঙ্ক্ষী অথবা শুভংকরের ফাঁকি
একই মৃত্যু, ভিন্ন রেখাপাতে
চোখ ঘুম ঘুম রাত্রি নিঝুম নিঝঝুম নিরালয়

হায়াতের দিন ফুরোলে বইয়ের কিছু অংশ:

বাবার কাছে আত্মীয়-স্বজন আর প্রতিবেশীদের খোঁজখবর নিচ্ছিলাম। একজন আত্মীয়ের কথা জিজ্ঞেস করাতে বাবা বললেন, “ভালই তো আছে দেখলাম। আগে দেখা হলে কেমন আছি জিজ্ঞেস করত। বিগত কয়েকদিনে দুইবার দেখা হলো। কেমন আছি জানতে চাওয়া তো দূর, সালামটা পর্যন্ত দিলো না।

বাবার আক্ষেপ হলো- যেহেতু বাবা বয়সে বড় এবং অধিকতর অসুস্থ, ওই আত্নীয়ের উচিত ছিল দেখামাত্র আগে বাবাকে সালাম দেওয়া এবং কুশলাদি জিজ্ঞেস করা। আমাদের ওই আত্মীয় এই কাজ অবশ্য সর্বদাই করে। তবে, যেহেতু শেষ দুই সাক্ষাতে বাবাকে সে সালাম দেয়নি এবং কুশলাদিও জানতে চায়নি, বাবার ধারণামতে হয় সে বাবাকে অবজ্ঞা করেছে, নয়তো অহংকারী হয়ে গেছে।

বাবার এমন চিন্তা আমার কাছে প্রশ্রয় পেল না। শুধরে দিয়ে বললাম, ‘আপনি যেরকম ভাবছেন ব্যাপারটা তো সেরকম না-ও হতে পারে। মানুষের মন-মেজাজ মর্জি সব সময় কি একই রকম থাকে? এমনি কি হতে পারে না যে-কোনকিছু নিয়ে সে ভীষণ চিন্তিত? হয়তো আর্থিক টানাপোড়নে দিন যাচ্ছে তার। হয়তো শরীরটা ভালো যাচ্ছে না, অথবা-ছেলেমেয়েদের, কিংবা নাতি-নাতনিদের অসুখ-বিসুখের কারণে মনটা খুবই উদাসীন? কত ধরনের সুবিধা-অসুবিধার মধ্যেই তো মানুষকে বাঁচতে হয়। তা সত্ত্বেও মানুষেরা আমাদের সাথে হাসিমুখে কথা বলে, কুশলাদি জানতে চায়, খোঁজখবর রাখে-এই জন্য আমাদের উচিত তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকা। কেউ যদি কখনো সেটা না করতে পারে, তার ব্যাপারে মন্দ না ভেবে, সুধারণা করাই উত্তম।’

এমনটা আমাদের সাথে হয়। প্রায় প্রতিদিন কথা হয় এমন কেউ হয়তো দীর্ঘদিন আমাদের খোঁজখবর নিতে অপারগ হতে পারে। সর্বদা মুখে হাসি জিইয়ে থাকে এমন কাউকেও আমরা মাঝে মাঝে বিষন্ন চেহারায় আবিষ্কার করতে পারি। কাউকে অনলাইনে মেসেজ করেছি, সে হয়তো মেসেজটা সীন করেছে কিন্তু উত্তর করেনি। তার মানে কি সর্বদা এটাই যে- সেই লোক আমাকে পাত্তা দেয়নি? উহুঁ, ব্যাপারটা সব সময় এত সরল নয়।

জীবনে আমরা সবাই যে সর্বদা সুখের সাগরে হাবুডুবু খাই তা কিন্তু নয়। সেখানে আমাদের সুখ যেমন আছে, আছে  দুঃখও। অর্থের টানাটানি, সম্পর্কের টানপোড়েন, অসুখ-বিসুখের  হাতছানি। কোন কারণ যদি না-ও থাকে, একেবারে বিনা কারণেও আমাদের মন উদাস আর বিষন্ন হয়ে থাকতে পারে। জীবনের এমন মুহূর্ত যখন কেউ পার করে, তার কাছে চারপাশের দুনিয়াটাকে তখন একটু বিষাদ লাগাই স্বাভাবিক। বাঁচার তাগিদে তাকে হয়তো আপনার সামনে আসতে হয়, কিন্তু হাসবার যে শক্তি, সেটা তার মনে আপাতত অবশিষ্ট নেই।