Skip to content

বেলা ফুরাবার আগে (Bela Furabar Age)

Author: Al Rayhan Himel | ⌚Last Updated On: March 10, 2024

“বেলা ফুরাবার আগে” আরিফ আজাদ রচিত তুমুল জনপ্রিয় একটি ইসলামিক বই। বইটি মূলত তরুণদের জন্য লেখা। এই বইটি সমকালীন প্রকাশনী থেকে ২০২০ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়।

বেলা ফুরাবার আগে

বেলা ফুরাবার আগে

Key Specifications

বইয়ের নাম: বেলা ফুরাবার আগে
খণ্ড সংখ্যা:
ক্যাটাগরি: ইসলামি বই: আত্ম-উন্নয়ন
লেখক: আরিফ আজাদ
প্রকাশক: সমকালীন প্রকাশন
ভাষা: বাংলা
পৃষ্ঠা সংখ্যা: ৩৮৬

বেলা ফুরাবার আগে বইয়ের সূচিপত্র

শুরুর আগে
মন খারাপের দিনে
আমার এত দুঃখ কেন?
বলো, সুখ কথা পাই
জীবনের ইঁদুর- দৌড় কাহিনী
চোখের রোগ
আমরা তো স্রেফ বন্ধু কেবল
চলে যাওয়া মানে প্রস্থান নয়
বেলা ফুরাবার আগে
মেঘের কোলে রোদ হেসেছে
বসন্ত এসে গেছে
সালাতে আমার মন বসে না
তোমায় হৃদ মাঝারে রাখবো
যুদ্ধ মানে শত্রু-শত্রু খেলা
মেঘের ওপার বাড়ি

বেলা ফুরাবার আগে বইয়ের কিছু অংশ পড়ে দেখুন:

Headline: শুরুর আগে

প্রিয় নবি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ছিলেন সাহাবিদের চোখের মণি। তাকে এক মুহূর্তের জন্য দৃষ্টির অন্তরাল করা সাহাবিদের জন্য ছিল রীতিমতো বিচ্ছেদের ব্যাপার। নবিজির উপস্থিতি তাদের হৃদয়কে প্রফুল্ল করে তুলত। তাদের ধ্যানধারণা, তাদের যাপিত জীবনের সকল অনুষঙ্গ আবর্তিত হতো নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে ঘিরেই। ধু-ধু মরুভূমিতে পথহারা পথিকের বুক যেমন এক ফোঁটা পানির জন্য ছটফট করতে থাকে, সাহাবিদের কাছে নবিজির সঙ্গ ছিল ঠিক সে রকম। দুর্লভ, অমৃত সমান পানির মতন। নবিজিকে তারা চোখে হারাতেন। তিনি ছিলেন তাদের কাছে প্রাণের অধিক প্রিয়। যে মানুষটিকে এক পলক না দেখলে সাহাবিরা অস্থির হয়ে উঠতেন, ব্যাকুল হয়ে পড়তেন, যার মুহূর্তকাল অনুপস্থিতি সকলকে দিশেহারা করে তুলত, একদিন সেই মানুষটিই যখন দুনিয়ার পাঠ চুকিয়ে বিদেয় নিলেন, দুনিয়ার জীবন ছেড়ে পাড়ি জমালেন অনন্ত অসীম জীবনের পথে, সাহাবিদের মনের অবস্থা তখন কেমন হয়েছিল? ‘প্রিয়তম মানুষটার সাথে দুনিয়ায় আর দেখা হবে না, একসাথে বসে গল্প করা হবে না, হৃদয়ের সমস্ত আবেগ ঢেলে ‘ইয়া রাসুলুল্লাহ” বলে সম্বোধন করা যাবে না, তার ডাকে ‘লাব্বাইক’ বলে হাজির হওয়া হবে না’—এমন দৃশ্যগুলো কল্পনা করা কি সাহাবিদের জন্য খুব সহজ ছিল? ছিল না। নবিজিকে হারিয়ে সাহাবিদের হৃদয়ে যে বিচ্ছেদের ঝড় উঠেছিল, সেই ঝড়ের খানিকটা আমরা বুঝতে পারি উমার রাযিয়াল্লাহু আনহুর ঐতিহাসিক সেই ঘটনা থেকে।

নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মৃত্যুর দিন উমার রাযিয়াল্লাহু আনহু একেবারে পাগলের মতো হয়ে গেলেন। ‘নবিজির মৃত্যু হতে পারে’ –এই ব্যাপারটা তিনি বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না। তিনি হয়তো ভাবলেন, আল্লাহ কর্তৃক প্রেরিত একজন রাসুল, যাকে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা বাছাই করেছেন গোটা মানবজাতির জন্যে, যার ওপর নাযিল হয়েছে আসমানি গ্রন্থ আল-কুরআন, মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা যার সাথে সাত আসমানের ওপরে সাক্ষাৎ করেছেন, তার কীভাবে মৃত্যু হতে পারে? উমার রাযিয়াল্লাহু আনহু তখন অধিক শোকে পাথর। ‘মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও একজন মানুষ। মানুষ হিশেবে তার মৃত্যু হওয়াটাই স্বাভাবিক। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা সৃষ্ট কোনো বস্তুকেই অমরত্ব দান করেননি……….

Headline: মন খারাপের দিনে

খুব মন খারাপ? হৃদয়ের অন্দরমহলে ভাঙনের জোয়ার? চারপাশের পৃথিবীটাকে বিস্বাদ আর বিরক্তিকর লাগছে? মনে হচ্ছে, আপন মানুষগুলো দূরে সরে যাচ্ছে? হারিয়ে যাচ্ছে প্রিয়জন, প্রিয়মানুষ? কিংবা অযাচিত, অন্যায্য সমালোচনায় ক্ষতবিক্ষত অন্তর? নিন্দুকের নিন্দায় হৃদয়ের গভীরে গভীর দুঃখবোধের প্লাবন? তাহলে চলুন আমরা ঘুরে আসি অন্য একটা জগত থেকে।

বলছিলাম সেই সময়কার কথা যখন পৃথিবীতে রাজত্ব করছিল সবচাইতে নিকৃষ্ট, নির্দয়, নরপিশাচ শাসক ফিরাউন। সম্ভবত, পৃথিবী আর কখনোই তার মতন দ্বিতীয় কোনো যালিম শাসককে অবলোকন করবে না। তার অত্যাচার আর নির্যাতনের মাত্রা ছিল অতি ভয়ংকর। হবেই-বা না কেন? নিজেকে সে ‘খোদা’ দাবি করত। খোদার শান, মান আর মর্যাদার আসনে কল্পনা করে সে নিজেকে জগতের একচ্ছত্র অধিপতি ধরে নিত। তার এই মিথ্যে দাবির সাথে যারাই দ্বিমত করত, তাদের কপালে জুটত—মৃত্যু! সেই মৃত্যুগুলো কোনো সাধারণ মৃত্যু ছিল না। কাউকে আগুনে পুড়িয়ে মারত, কাউকে পানিতে চুবিয়ে মারত। যেন মৃত্যুর বাহারি আয়োজনে ভরপুর থাকত তার সংসদ।

ফিরাউন ধরে ধরে বনি ইসরাইলের পুত্র সন্তানদের হত্যা করত। ফিরাউন জানত, তাকে বধ করার জন্য এই বনি ইসরাইলের মধ্যেই সত্য ইলাহের একজন সত্য নবি প্রেরিত হবে। সে ভাবত, বনি ইসরাইলের ঘরে জন্ম নেওয়া সকল পুত্র সন্তানকে হত্যা করতে পারলেই তার পথের কাঁটা সাফ করে ফেলা যাবে।

এই নিষ্ঠুর, নির্দয় যালিমের হাত থেকে নিজের সন্তানকে বাঁচাতে মরিয়া হয়ে উঠল শিশু মুসার মায়ের অন্তর। চোখের সামনে প্রাণাধিক প্রিয় সন্তানের নির্মম মৃত্যুদৃশ্য অবলোকন করা দুনিয়ার কোনো বাবা-মায়ের পক্ষেই সম্ভব নয়। কীভাবে বাঁচাবেন পুত্রকে তিনি? কীভাবে তাকে আড়াল করবেন যালিম বাহিনীর নাগপাশ থেকে? অস্থির চঞলা হয়ে পড়লেন তিনি। মুসার মায়ের হৃদয়ের এই ব্যাকুলতা আল্লাহর কাছে গোপন থাকল না। তিনি শিশু মুসা আলাইহিস সালামকে একটা বাক্সে ভরে নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার জন্য মুসার মাকে নির্দেশ দিলেন……….

FAQs About Bela Furabar Age

Q: বেলা ফুরাবার আগে বইটির লেখক কে?

বেলা ফুরাবার আগে বইটির লেখক আরিফ আজাদ।

Q: বেলা ফুরাবার আগে কি ধরনের বই?

বেলা ফুরাবার আগে আরিফ আজাদ রচিত একটি আত্নউন্নয়নমূলক ইসলামি বই।

Q: বেলা ফুরাবার আগে বইয়ের দাম কত?

এই বইটির দাম ২১৮ টাকা (মূল্য পরিবর্তনশীল)।

Q: বেলা ফুরাবার আগে বইয়ের ২য় কিস্তি কোনটি?

“এবার ভিন্ন কিছু হোক” বইটি বেলা ফুরাবার আগে বইয়ের ২য় কিস্তি।

You May Like